তেলাকুচা
তেলাকুচা একটি লতানো উদ্ভিদ। দেশের প্রায় সব জায়গায় কোন না কোন গাছকে আশ্রয় করে জন্মে থাকে। লতার কাণ্ড থেকে আকর্ষিক সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে উপরে উঠে। অনেক সময় আশ্রয়ই গাছকে পুরো ছেয়ে ফেলে। পর্ব সন্ধি থেকে পাঁচকোণা আকারের পাতা গজায়, পাতা ও লতার রং সবুজ। শীতকাল ছাড়া বছরের প্রায় সব সময় গাছে ফুল ও ফল হতে দেখা যায়। ফুলের রং সাদা। ফলের উপরটা মসৃণ তেলতেলে, একটুও লম্বাকৃতি, দেখতে অনেকটা ছোট পটলের মতো, কাটা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে লাল হয়। ফলের শাঁস বেশ এবং বমির উদ্রেক হয়। ভেতর অনেক বীজ বিজি রয়েছে। তেলাকুচার আদিনিবাস এশিয়ার উষ্ণ অঞ্চলে।
পরিচিতিঃ
ব্যবহারযোগ্য অংশঃ
ফল, পাতা, লতা ও মূল।
1. আমাশয়ে 1 চা চামচ তেলাকুচা পাতার রস ও চিনি মিশিয়ে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
2.খোস-পাঁচড়া, ছুলি ইত্যাদি চর্মরোগে তেলাকুচা পাতার রস খেলে ও সমস্যার জায়গা মাখলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়
3.রক্ত আমাশয়- 1 চা চামচ পরিমাণ তেলাকুচা পাতার রস লোহার পাত্রে গরম করে এবং আধা চামচ আখের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে রক্ত আমাশয় ভাল হয়।
4.অধিক গরমে ফলে মাথা ঘোরালে তেলাকুচা পাতার রস কপালে ও মাথায় মাখলে উপকার পাওয়া যায়।
5. হাতে ও পায়ে জ্বালা হলে তেলাকুচা পাতা ও লতানো ডগা থেঁতো করে হাতে ও পায়ে মালিশ করলে জ্বালা ভালো হয়।
6.জিহ্বায় ক্ষত হলে তেলাকুচার কাঁচা ফল চিবিয়ে সেই লাল মিশ্রিত রস মুখে কিছুক্ষণ রেখে ফেলে দিলে যিহার ক্ষত ভালো হয়।
7. মাথা ব্যথা হলে তেলাকুচার পাতার রস তিল তেল মিশিয়ে মাথায় দিলে মাথা ব্যথা ভাল হয়।
8. তেলাকুচার পাতা ও মূলের রস ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি প্রতিহত করতে পারে। 4-5 চা-চামচ একটু গরম করে সকাল-বিকেল 3-5 দিন খেলে সর্দি আক্রমণের ভয় থাকে না,বুকে সর্দি জমে হাঁপানির মতো হলেও এটাতে বেশ উপকার হয়।
9. সকালে খালি পেটে তেলাকুচার পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।