লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা মানব জীবনে
লজ্জাবতী
পরিচিতিঃ লজ্জাবতী গুল্ম জাতীয় লতানো উদ্ভিদ। মাটিতে গিয়ে বড় হয় এবং গায়ে কাঁটা থাকে। স্পর্শ পেলে পাতাগুলো গুটিয়ে নেয়। পাতার গোড়া থেকে ফুল বের হয়। ফুল নরম ও গোলাপি, বেগুনি রংয়ের এরা হয়ে থাকে।ফুল ও ফল বছরের সকল সময় জন্মে। সাধারনত জুলাই থেকে ডিসেম্বর এর মধ্যে ফুল ও ফল হয়। পতি ফলে তিন-চারটি বীজ হয়। লজ্জাবতী গোলাপি ও ঈষৎ সাদা ও দুগ্ধবৎ সাদা এবং সবুজ এই চার প্রকার এ দেশে দেখা যায়।
ব্যবহারযোগ্য অংশঃ মূল,কাণ্ড ও পাতা,বীজ ও ফুল ব্যবহৃত হয়।
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ
1. লজ্জাবতীর 10 গ্রাম পাতাসহ ডাটা 4 কাপ জলে সিদ্ধ করে 1 কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঐ ক্বাথ খেলে পুরাতন আমাশয় বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
2.লজ্জাবতীর 10 গ্রাম মূল ও ডাটা 1 কাপ দুধ ও তিন কাপ জলে মিশিয়ে সিদ্ধ করে 1 কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে এই ক্বাথ সকালে বিকেলে দুবার খেলে অর্শ রোগে রক্ত পড়া বন্ধ হয় ও জ্বালা দূর হয়।
3.হাত পা জ্বালা সাথে জ্বর হলে, লজ্জাবতীর 10 গ্রাম মূল ও ডাটা এক কাপ দুধ ও তিন কাপ জল মিশিয়ে সিদ্ধ করে 1 কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ ক্বাথ সকালে বিকেলে দুবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
4. ঘামের দুর্গন্ধ হলে লজ্জাবতীর পাতাসহ ডাঁটার ক্বাথ তৈরি করে বগলে ও শরীরে লাগাতে হবে।
5. কানে পুঁজ হলে লজ্জাবতী গাছ সিদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করে, সেই ক্বাথ তিল তেলে গরম করে ঠাণ্ডা অবস্থায় ফোঁটা ফোঁটা কানে দিলে পুঁজ পড়া বন্ধ হয় ও ক্ষত সেরে যায়।
6. পুরাতন ঘায়ে লজ্জাবতীর ক্বাথ একটু ঘন করে ঘায়ে লাগালে ঘা সেরে যায়।