তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
তেঁতুল
পরিচিতিঃ
তেঁতুল একটি বহু পরিচিত বিরাট আকৃতির বৃক্ষ।গাছ প্রায় 30 থেকে40 ফুট উঁচু এবং বেশ মোটা হয়। পাতা 2 ইঞ্চি লম্বা দন্ডে বাবলা পাতার মতো ছোট ছোট পাতা হয়, তবে একটু মোটা এবং ক্ষুদ্র ও সরু শাখার উভয়পাশে সারিবদ্ধ সাজান। ফুল গুচ্ছবদ্ধ হয় এবং পাপড়ি নৌকার ন্যায় ফলটিকে ঘিরে থাকে।নিচের পাপড়ি আধ ইঞ্চি লম্বা ও নরম থাকে। বীজ চারকোন বিশিষ্ট 10 থেকে 12 হয়।বীজের শাঁস থেকে টারটারিক থেকে এসিড হয়। 40 কেজি ফলে 25 কেজি শাঁস হয়। জুলাই-আগস্ট মাসে ফুল এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফল হয় তেঁতুল পাতা ছাল, ফল এবং বীজ ব্যবহার হয়।
ব্যবহারযোগ্য অংশঃ পাতা, ফল, বাকল, ছাল।
কোন অংশ কিভাবে ব্যবহৃত হয়ঃ
1. কচি তেঁতুল পাতার ক্বাথ গড়গড়া কড়াই মু
খের ঘা, জিহ্বর ঘা,ডিপথেরিয়া ও কন্ঠ রোগে উপকারী।
2. তেতুল পাতার ক্বাথ সেবনে আমাশয়, অর্শ, পিত্তজ্বর, ও প্রমেহ রোগ সাড়ে।
3. তেঁতুল পাতা বাটা কাপড়ের পুঁটলি বেঁধে চোখে বুলালে চোখ উঠা নিবারণ হয়।
4. বিষাক্ত ক্ষতে তেঁতুল পাতা গোলমরিচের সঙ্গে প্রলেপ দিলে উপকারী।
5. পাতার রসের লোহা পুড়ে লাল অবস্থায় ভিজিয়ে সেবনে রক্ত দাস্তে উপকারী।
6. পাতা 25 গ্রাম 250 মিঃলিঃ জলে মিশিয়ে চিনিসহ খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া দূর করে।
7. বীজ পেটের চর্বি সঙ্গে প্রলেপ দিলে ভাঙ্গা-মচকানো ও ফোলায় উপকারী।
8. বীজের খোসা ছোলা পরিমাণ বড়ি করে তিন থেকে চারবার সেবন অর্শের রক্ত বন্ধ হয়।
9. এছাড়াও খোসা ও বীজ গুঁড়া 1 গ্রাম পরিমাণ দধি সহ 3দিন খেলে অর্শের রক্ত বন্ধ হয়।